ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জগন্নাথপুর গ্রামে ২০১৭ সালে হওয়া জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি একই উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক মোহাম্মদ শফিউল আজম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মাসুদ রানার বড় ভাই এম. এ. হালিম নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আদালত পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. দিদারুল আলম আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রানা জোড়া খুনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ মার্চ নবীনগর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে খুন হন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সাবেক সদস্য ইয়াছিন মিয়া ও তার ভায়রা খন্দকার এনামুল হক। উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের রসুল্লাবাদ গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার এনামুল হক ওই এলাকায় ‘হক ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও ছিল। অভিযোগ রয়েছে, মোটরসাইকেল নিয়ে বিরোধের জেরে ইয়াছিন মিয়া ও খন্দকার এনামুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রানা ও তাঁর সহযোগিরা পরিকল্পিতভাবে খুন করে। পরে ঘটনাটি ডাকাতি বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, এমন অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। এ ঘটনায় নবীনগর থানা পুলিশ হত্যা মামলা নিতে না চাইলে এনামুল হকের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগ দেন। আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রানাসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post